বাংলাদেশে ভাষা শিক্ষা পরিস্থিতি যেভাবে উন্নয়ন করা যেতে পারে - SMH Amiri

সর্বশেষ লিখা

বাংলাদেশে ভাষা শিক্ষা পরিস্থিতি যেভাবে উন্নয়ন করা যেতে পারে



ভাষা কাল সৃষ্টি করে, ভাষা যুগ সৃষ্টি করে, ভাষা পরিবেশ সৃষ্টি করে, ভাষা ব্যক্তি সৃষ্টি করে, আবার ভাষা মতাদর্শ সৃষ্টি করে। দেশ ও জাতির ব্যক্তিত্ব নির্মাণের জন্য তার স্বাতন্ত্র্য-স্বরূপকে চিহ্নিত করার জন্য ভাষার রূপকে পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করা যায়। বিশ্বায়নের কবলে পড়ে বাংলা ভাষার মর্যাদা যাতে কমে না যায় সে জন্য প্রয়োজন নানাবিধ উদ্যোগের। বাংলাদেশে ভাষা পরিস্থিতি এখন চরম নৈরাজ্য ও বিভ্রান্তিকর অবস্থার মধ্যে যা থেকে আমাদের পরিত্রাণ নেই সহজে যদি না আমরা মাতৃভাষা নিয়ে হীনমন্যতা পরিত্যাগ করতে পারি। রক্তের আলপনা এঁকে যে ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি বাংলাদেশের রাজকীয় ভাষারূপে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সেই ভাষার শুদ্ধ প্রয়োগ ও উচ্চারণে আমাদের অনীহার অবসান এখনো হয় নি।

ভাষা নীতি প্রণয়ন করা:

বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর যে সংবিধান প্রণয়ন করা হয়, সেখানে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হলো। এই স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভাষার অবস্থানগত একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়ে গেল যে বাংলাদেশ নামক যে রাজনৈতিক ভূখণ্ডটি হয়েছে তার রাষ্ট্রভাষা বাংলা। অর্থাত্ বাংলাদেশে বাংলা ভাষা প্রচলনে নীতিগত দিক থেকে আর কোনো সমস্যা নেই। এর পরও একাত্তর-পরবর্তী সময়ে আমরা প্রতিবছরই শুনে আসছি, সর্বস্তরে বাংলা প্রচলন করতে হবে। সর্বস্তরে বাংলা প্রচলনের বিষয়টি এলে এর সঙ্গে চলে আসে ভাষার অবয়বগত পরিকল্পনা। ভাষাকে যখন বলা হলো, বাংলা ভাষা, এটা রাষ্ট্রভাষা, তার মানে হচ্ছে, যে ভাষা আমরা জানি। ভাষা তো একটা হাতিয়ার মাত্র। তো বাংলা রাষ্ট্রভাষা হলে তাকে কিছু কার্যভার নিতে হবে।

পর্যাপ্তভাবে গণগ্রন্থাগার তৈরী করা:

দেশের ভাষা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পাবলিক লাইব্রেরী। বাংলাদেশে সরকার নিয়ন্ত্রিত পাবলিক লাইব্রেরী ততটা নেই। ভাষা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য দেশের কমপক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পাবলিক লাইব্রেরী প্রয়োজন। যাতে করে ভাষা শিক্ষায় আগ্রহী ব্যক্তিরা সবসময় হাতের কাছে ভাষা শিক্ষা সংক্রান্ত বই পেতে পারে। এতে করে সবচে’ বেশী উপকৃত হবে ভাষা শিক্ষক ও ভাষা শিক্ষার্থী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

ভাষা পরিকল্পনা সংস্থা করা:

একটা পূর্ণাঙ্গ ভাষা পরিকল্পনা সংস্থা হওয়া খুব দরকার। আংশিকভাবে এ দায়িত্ব পালন করছে বাংলা একাডেমী। কিন্তু বাংলা একাডেমী কোনো ভাষা পরিকল্পনা সংস্থা নয়। আমাদের দুর্ভাগ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ শুরু করতে পারছে না। তাদের যে কার্যপরিধি আছে, সেভাবে কাজ শুরু করতে পারলে আমাদের অনেক সমস্যার সমাধান হতো। আবার ভাষা-পরিস্থিতি তো শুধু বাংলা ভাষা নয়, বাংলাদেশের ভাষা-পরিস্থিতি। এখানে কিন্তু ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ভাষাগুলো আছে, আঞ্চলিক ভাষা আছে, বাক্প্রতিবন্ধীদের ইশারা ভাষা আছে। পুরো ভাষা-পরিস্থিতি নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষা ব্যবহারিক ক্লাসের ব্যবস্থা করা:

শিক্ষায় ভাষা যেভাবে শিক্ষা প্রদান করা হয় তাতে কোন রকমের সরাসরি শিক্ষার্থী যাচাই পদ্ধতি নেই। প্রচলিত পরীক্ষা ও ভাষা শিক্ষায় কেবল মাত্র শিক্ষাথীরদের লৈখিক দক্ষতা যাচাই করা যায়, আরো তিনটি দক্ষতা যাচাই করা সম্ভব হয় না।যথাযথভাবে ভাষা শিক্ষার জন্য প্রয়োজন শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক ভাষা জ্ঞান। এ জন্য প্রয়োজন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা ব্যবহারিক ক্লাস (গবেষণাগার)। এতে শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতার চারটি স্তরই ভালভাবে শিখন সম্ভব হবে। নতুবা ভাষা শিক্ষার মূলে কোন শিক্ষার্থীকে সংযোজন করা সম্ভব হবে না। সুতরাং ভাষা শিক্ষা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভাষা ব্যবহারিক ক্লাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করা:

স্কুল পর্যায়ে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া চলছে। ইংরেজি মাধ্যমে কিন্ডারগার্টেন থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজে ইংরেজি মাধ্যম এত হয়েছে যে গোটা শিক্ষার্থী-সমাজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল বা কলেজে বা কিন্ডারগার্টেনে পড়াশোনা চালাতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, সেটা ওই বিত্তবান শ্রেণী ছাড়া আর কারও পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। যদি আমরা কথাটাকে এভাবে বলি যে সমুদ্র মন্থন করে অমৃত তোলা হলো, কিন্তু সবটুকু অমৃত সুরলোকের দেবতাদের ভোগেই গেল। আমাদের অবস্থাটাও এখন সে রকম। এ জন্য এখন আমি মনে করি, সর্বস্তরে বাংলা চালুর সেই স্লোগানটি তখনকার সময়ের চেয়ে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

দ্বিতীয় ভাষাকে সমান প্রধান্য দেয়া:

তবে এ ক্ষেত্রে অনেক সমস্যাও দাঁড়িয়ে গেছে। আমাদের মানসিকতাও এ জন্য দায়ী। ইংরেজি ভাষার প্রতি আমার কোনো বিদ্বেষ নেই। কিন্তু আমি প্রায়ই বলে থাকি—সেটা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে—যে পৌনে দুই শ বছর ইংরেজদের ঔপনিবেশিক শাসনে থাকার কারণে ইংরেজি ভাষার প্রতি আমাদের এক ধরনের দাস-মনোভাব তৈরি হয়েছে। ফলে আমরা ইংরেজিতে একটা ভুল করলে শরমে মরে যাই, অথচ বাংলায় চৌদ্দটা ভুল করলেও আমাদের কাছে খারাপ লাগে না।

ভাষা শিক্ষাকে উৎসাহ দেয়া:

ভাষা শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থী ও অন্যান্য জনগণকে উৎসাহ করার নিমিত্তে সরকার বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নিতে পারেন। যাতে করে সর্বস্তরের মানুষ ভাষা শিক্ষার প্রতি অনুপ্রণিত হয়। যেমন, ভাষা সংক্রান্ত প্রতিযোগিতার আয়োজন করা, ভাষায় অভিজ্ঞদের ভাষা সংক্রান্ত অধিদপ্তর বা সংস্খায় কর্মে নিয়োজিত করা, যে কোন ভাষা শিক্ষার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা ইত্যাদি। সবোর্পরি ভাষা শিক্ষা পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য ভাষা শিক্ষাকে সর্বক্ষেত্রে উৎসাহব্যঞ্জক ও সর্বনিম্ন খরচে রাখতে হবে।

শিক্ষার্থীদের ভাষাজ্ঞান নিশ্চিত করে প্রমোশন প্রদান করা:

ভাষা শিক্ষার্থীরা কেবল মাত্র লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই তাদের মূল্যায়িত করে থাকে। ভাষা শিক্ষার যে চারটি ধাপ রয়েছে পড়া,লেখা, বলা ও শুনা তার মধ্য থেকে কেবল মাত্র লেখার মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। শিক্ষাথীদের ভাষা জ্ঞান নিশ্চিত করার জন্য ভাষার অন্যান্য দিক পড়া, বলা ও শুনার মূল্যায়ন করে পরবর্তী শ্রেণীতে প্রমোশন না দিলে পরবর্তী শ্রেণীতে সে ভাষা শিক্ষা থেকে অনেক পিছিয়ে থাকে। তাই শিক্ষার্থীদের শতভাগ ভাষা জ্ঞান নিশ্চিত করে প্রমোশন দেয়া উচিৎ।

শিক্ষার্থীদের জন্য ভাষা নির্বাচন:

ভাষাটাকে আমরা কোথায় নেব। শিক্ষাটাকে আমরা কোথায় নেব। এই যে মাতৃভাষার মাধ্যমে সবকিছু করার আকাঙ্ক্ষা, সেটা তো শুধু একটা রাজনৈতিক বা সামাজিক ঘোষণা ছিল না, তার একটি বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনও ছিল। সেদিন কতখানি বোঝা গেছে জানি না, কিন্তু আজকে এর একটা বৈজ্ঞানিক অপরিহার্যতা দাঁড়িয়ে গেছে। আজকে আমরা নিউরোলজির অনেক কিছু জানি, ভাষাবিজ্ঞানে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। সবাই জানে, ভাষার নিয়মকানুনের একটা বোধ আমাদের জিনে গ্রথিত হয়ে আছে। সারা দুনিয়ায় এ জন্য ভাষা অনেক, আবার লসাগু করে নিলে সবগুলো ভাষার নিয়ম অল্প কয়েকটাতে চলে আসবে। চমস্কি সেটা ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন। আমরা ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে যে ভাষায় অভ্যস্ত—আমাদের মস্তিষ্কের যে হার্ডওয়্যার, সেই যে ইউনিভার্সাল গ্রামার—সেই ভাষাটা সে ব্যাখ্যা করতে পারে। সে ভাষাই ভালো, যাকে আমরা কোনো কিছু আত্তীকরণের কাজে লাগাতে পারি।

পরিভাষার প্রতি সম্মান থাকা:

আইনে কিন্তু পরিভাষা তৈরি করা খুব সোজা। যেমন আমরা রিটকে রিটই বলি। কষ্ট করে অক্সিজেনের বাংলা যেটা করা হয়েছে, সেটা আমরা উচ্চারণ করি না। সুয়োমোটো (স্ব-উদ্যোগে) কিন্তু সুয়োমোটোই লেখা হচ্ছে। এই যে কতগুলো টেকনিক্যাল শব্দ আছে, সেসব ইংরেজি ভাষায় থাকলেও সেগুলো কিন্তু এসেছে অন্য ভাষা থেকে। কালের বিবর্তনে ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানি থেকে শব্দ ইংরেজি ভাষায় এসে মিলেমিশে গেছে। আমরাও তেমনই আমাদের উচ্চারণের মতো করে অনেক বিদেশি শব্দ গ্রহণ করে নিয়েছি। যেমন আমরা হসপিটালকে হাসপাতাল বলি। একে আর ইংরেজি শব্দ বলে মনেই হয় না। নিজেদের ধ্বনি অনুযায়ী আমরা শব্দটাকে তৈরি করে নিয়েছি। এভাবে যদি আমরা তৈরি করি, তাহলে হাইকোর্ট বিভাগ ও আপিল বিভাগে বাংলা ভাষা চালু করা খুব কঠিন হবে না, কিন্তু সেটার সদিচ্ছা আমাদের নেই। সদিচ্ছা নেই, তাই ব্যাপারটা একটু কঠিনও বটে। এ জন্য যে আমাদের বেশির ভাগ বই, যেগুলো বাইরে থেকে ছাপা হয়, তার সবই ইংরেজিতে লেখা। অনেক দিন আগে আমি বলেছিলাম, নিত্যপ্রয়োজনীয় যেসব বই আছে—যেগুলো ইংরেজি থেকে আমাদের পড়তেই হবে, যেমন লিগ্যাল ডিকশনারি বা ল-লেক্সিকন—একটা কমিশন করে সেগুলো বাংলায় অনুবাদ করা হোক। এই বইগুলো প্রত্যেক আইনজীবীর দরকার পড়ে। বাংলা একাডেমী সহজেই এসব করতে পারে।

ভাষা শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা:

ইংরেজি আমরা কোন পর্যায় থেকে পড়াব, সে ধারণা পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন আছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে আমরা বলে আসছি, মাতৃভাষা হচ্ছে মায়ের দুধের মতো এবং শিশুদের সেই দুধ না খাওয়ালে পরে সে দুর্বল হয়ে পড়বে। সে কারণে অল্প বয়সে ইংরেজি শিক্ষা আদৌ দেওয়া উচিত নয়। বর্তমান পৃথিবীতে অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যাচ্ছে, বাচ্চারা যত তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারে, তত তাড়াতাড়ি বড়রা পারে না। কাজেই মায়ের দুধের যে উপমা নেহাতই উপমা, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একটা জিনিস লক্ষণীয়, ইংরেজরা যখন আমাদের শাসন করেছে, ইংরেজি শিখিয়েছে, তখন কিন্তু ভারত থেকে সৃজনশীল ইংরেজি লেখকের সংখ্যা অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। আজকে স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান থেকে অনেক ইংরেজি লেখক বেরিয়ে এসেছেন, যাঁরা তাঁদের নিজেদের লেখার জন্যই ইংরেজি সাহিত্যে অবস্থান দাবি করতে পারেন। সেদিক থেকে আমার মনে হয়, ভাষা যত তাড়াতাড়ি শেখানো যায় ততই ভালো। এটা ঠিক যে আমরা যদি একেবারে নিচের স্তর থেকে সবাইকে ইংরেজি ভাষা শেখাতে যাই, সেখানে অনেক অর্থ বিনিয়োগের প্রশ্ন আসবে। কীভাবে সেই সম্পদের জোগান দেওয়ার সমস্যার সমাধান করতে হবে, সেটা আমাদের দেখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে মানসম্পন্ন করতে না পারলে আমাদের কোনো উদ্যোগই সফল হবে না।

পরিশেষে বলা যায়, বাংলা ভাষার অবস্থা এবং অবস্থান কোনোটাই এখন মোটেই ভালো নয় । ভাষা দিবসকে অর্থবহ করতে বা সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠার জন্যে আমি প্রথমে যে বিষয়টির কথা বলবো সেটি হচ্ছে – শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করতে হবে। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে বাংলা ভাষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে । ইংরেজি আমরা শিখব, আমাদের সিলেবাসে যতখানি ইংরেজি আছে প্রয়োজন হলে তার চেয়ে বেশী করে নেব কিন্তু আমাদের জাতির বা রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সব কিছুই আমরা বাংলা ভাষাতে করবো । দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে, আমাদের একটি রাষ্ট্রীয় ভাষা নীতি দরকার । এতে বাংলা ভাষায় কি কাজ করবো এবং ইংরেজি ,আরবি , ফার্সী, উর্দু, সংষ্কৃত ও পালি এমনকি আমাদের আদিবাসীদের যে সমস্ত ভাষা রয়েছে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট রাষ্ট্রীয় বা জাতীয় ভাষা নীতি থাকতে হবে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাথমিক পর্যায় থেকে সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত বাংলা ভাষাকে পরিপূর্ণ গুরুত্বের সাথে কার্যকর করতে হবে । আর এ প্রক্রিয়ায় কার্যকর নেতৃত্ব সরকার দেবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি ।


No comments:

Post a Comment

Pages